সর্বপবিত্রা ঈশ্বরজননীর স্বর্গোন্নয়ন
The Transitus Romanus and Transitus Augiensis translated into Bangla, with introduction and explanatory notes
Περιγραφή εκδότη
মণ্ডলীর ইতিহাসের প্রথম শতাব্দীগুলো থেকে খ্রিষ্টভক্তদের মধ্যে এ ধর্মীয় চেতনা দৃঢ়তর হয়ে ওঠে যে, আপন মর্তজীবন শেষে পবিত্রা মারীয়া দেহে ও আত্মায় স্বর্গীয় গৌরবে উন্নীতা হন।
ইতিহাসের কথা ধরে বলা যেতে পারে, এবিষয় সংক্রান্ত লেখাগুলো তৃতীয় শতাব্দীতে নানা অঞ্চলে রচিত ও প্রচলিত হতে লাগল যেগুলো ‘মারীয়ার উত্তরণ’ অর্থাৎ মারীয়ার পরলোকগমন বলে পরিচিত। ধন্যা মারীয়া যে দেহে ও আত্মায় স্বর্গীয় গৌরবে উন্নীতা হলেন, এই মূল বিষয়বস্তুর পাশাপাশি এক একটা লেখা নানা নানা কাল্পনিক উপ-বিষয় সন্নিবিষ্ট করে যা নূতন নিয়মের কতগুলো চরিত্রের কথা ও ঘটনা ধ্বনিত করা ছাড়া নানা প্রতীক-চিহ্নও উপস্থাপন করে যা সেকালে প্রচলিত ছিল। যেমন সেই খেজুরপাতা যা বর্ণনার প্রধান প্রতীক-চিহ্ন।
কিন্তু এসমস্ত চরিত্র ও প্রতীক-চিহ্নের মধ্যে, এমনকি নানা কাল্পনিক ও নাটকীয় বর্ণনার মধ্যে এ লেখাগুলোর প্রকৃত বক্তব্য সবসময় স্পষ্টই প্রকাশ পায় তথা, ‘ধন্যা কুমারী মারীয়া আত্মায় ও দেহে স্বর্গীয় গৌরবে উন্নীতা হলেন।’ বাস্তবিকই মাতার মৃত্যুক্ষণে এসে হাজির হয়ে প্রভু তাঁর দেহ থেকে আত্মাকে তুলে নিয়ে তা পরমদেশে নিয়ে যান, এবং প্রেরিতদূতগণ ধন্যা মারীয়ার দেহকে কবরে সঁপে দিলে পর প্রভু পুনরায় আবির্ভূত হয়ে দেহটাকেও পরমদেশে নিয়ে যান যাতে দেহটা আত্মার সঙ্গে পুনর্মিলিত হয়।
তেমন লেখাগুলোর মধ্য থেকে এপুস্তিকা দু’টো বৃত্তান্তের অনুবাদ উপস্থাপন করে:
• রোমীয় উত্তরণ, যা ১১শ শতাব্দীর একটা গ্রীক পাণ্ডুলিপি (১৯৫৮ নং)।
• আউগীয় উত্তরণ, যা অন্যান্য লেখার সঙ্গে ৯ম শতাব্দীর একটা লাতিন পাণ্ডুলিপিতে অন্তর্ভুক্ত।
যে মূল সিরীয় পুঁথি যা থেকে পরবর্তীকালে “রোমীয় উত্তরণ” গ্রীক ভাষায় ও “আউগীয় উত্তরণ” লাতিন ভাষায় অনুবাদ করা হয়, তা সম্ভবত পঞ্চম (এমনকি হয় তো চতুর্থ) শতাব্দীতে রচিত হয়েছিল।