অবচেতন
Obocheton
-
- $2.99
-
- $2.99
Publisher Description
আফরোজা খানম তন্দ্রা ঘনিষ্ট মহলে পরিচিত তার ভিন্নমাত্রার লেখা লেখির জন্য। ছোট বেলা থেকেই লেখালেখি করেছেন। ২০২২ এর বই মেলাতে প্রকাশিত হয়েছে তার লেখা অনেকগুলো গল্প নিয়ে চমৎকার একটি বই ‘’অবচেতন’’। তার লেখাতে উঠে এসেছে আমাদের সমাজের, মানুষের জীবন গল্প। তবে গল্প বলার ধরন পাঠক কে শুধুমাত্র যে চমকে দেবে তা নয়, মানুষে মনের গভীরে যে অচেনা সত্ত্বা বসবাস করে তার সাথেও পরিচয় করিয়ে দেবে।
“প্রথমডা আমার পেটে থাকতেই কইলজা খাইতো। রাইত হইলেই কুটুর কুটুর আওয়াজ শুনতে পাইতাম। তাই রাইতের আন্ধারে পুকুরের পানিতে ডুবায় দিছি। পরেরডা খালি কানতো। বড়ই ত্যাকতো লাগতো আমার। বেশি সময় লাগে নাই। নাক-মুখ চাইপ্পা ধইরা ১,২,৩ কওয়ার আগেই শ্যেষ…”
“রিমি এই দুটি লাইন বিগত দুই ঘন্টা ধরে নিজের মনেই গুণগুণ করে গাইছে। আর বটিটা চাপাতির মতো করে ধরে কসাইদের মতো মাংসে কোপ দিচ্ছে। যে কাঠের টুকরার মধ্যে মাংস কোপাচ্ছে সেটা এই কোরবানি ঈদে রফিক নিজে পছন্দ করে কিনে এনেছে। বেশ শক্তপোক্ত কাঠটা। কোপ দিলে নিজে কেটে মাংসের গায়ে গুড়াগুড়া হয়ে লেগে থাকে না….”
হেই রাইতের কথা মনে হইলে এহনো আমার কইলজা খামছাইয়া ধরে। তনুর চিক্কারের আওয়াজ শুইনা আমরা তর ঘরের সামনে যাইয়া দেহি দরজা ভিতর থিকা বন্ধ। তনু আর জোরে চিক্কার দিতে পারে নাই। কিন্তু পরের দেড়-দুই ঘন্টা ওর গোঙ্গানির আওয়াজ শোনা গেছে। একসময় হেইডাও বন্ধ হইয়া গেছিলো।…..”
“আমাকে খুন কইরা কি শান্তি পাইলি রে মিজান? এবার ক’ তো, ভালা কইরা শুনি। বাঁইচা থাকতে তো আমারে দুই নয়নে দেখবার পারতি না.
জবাবে মিজান মৃদু হাসে,
: গলায় ছুরি চালানোর সময় কি বেশি কষ্ট পাইছেন ভাইজান?”