প্রার্থনা প্রসঙ্গ - সাক্ষ্যমরণের উদ্দেশে উৎসাহ বাণী
The Περἰ ευχής (On Prayer) and the Εἰς μαρτύριον προτρεπτικός λόγος (Exhortation to Martyrdom) of Origen, translated into Bangla from Greek, with introduction and explanatory notes.
Publisher Description
অরিগেনেসের জনপ্রিয় রচনা দু’টো হল “প্রার্থনা প্রসঙ্গ” ও “সাক্ষ্যমরণের উদ্দেশে উৎসাহ বাণী” যা ২৩৩ ও ২৩৫ সালের মধ্যে লেখা হয়।
• “প্রার্থনা প্রসঙ্গ”: একসময় অরিগেনেসের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও পৃষ্ঠপোষক আম্ব্রোজ ও তাতিয়ানা নামক অজানা একজন ভক্তপ্রাণ মহিলা তাঁকে প্রার্থনা বিষয়ে কিছুটা লিখতে অনুরোধ করেন। তিনি ‘প্রার্থনা প্রসঙ্গ’ পুস্তিকাটা লিখে তাঁদের অনুরোধে সাড়া দেন।
পুস্তিকার প্রথম পর্বে তিনি ‘প্রার্থনা’ শব্দটার বিস্তারিত ব্যাখ্যা উপস্থাপন করার পর ও যারা প্রার্থনা নিষ্প্রয়োজন মনে করে তাদের যুক্তি খণ্ডন করার পর খ্রিষ্টীয় জীবনে ঈশ্বরের সঙ্গে সংলাপ ও ঈশ্বরের কাছে আত্মাকে উত্তোলন করার লক্ষ্যে প্রার্থনার উৎকৃষ্টতা ও উপকারিতা স্পষ্ট করে তোলেন। স্বয়ং প্রার্থনার গুরু সেই খ্রিষ্ট প্রভুর বাণীকে ভিত্তি করে তিনি আজকালের পাঠক-পাঠিকাকেও প্রেরণা দেন তারা যেন প্রার্থনাকালে পার্থিব নয় বরং স্বর্গীয় ও মহৎ বিষয়ই যাচনা করে। কেননা শুধু আত্মিক হয়ে উঠেই মানুষ উপযুক্ত ভাবে প্রভুর শেখানো প্রার্থনার মাহাত্ম্য ও গভীরতা উপলব্ধি করতে পারে।
পুস্তিকার দ্বিতীয় পর্বে অরিগেনেস প্রভুর শেখানো প্রার্থনাকে অক্ষরে অক্ষরে এমন ভাবে ব্যাখ্যা করেন যে, আজকালের মানুষও তাঁর অসাধারণ জ্ঞান ও সূক্ষ্ম যুক্তি ছাড়া তাঁর প্রেরণাপূর্ণ আধ্যাত্মিকতারও সামনে বিস্মিত না হয়ে পারে না।
• “সাক্ষ্যমরণের উদ্দেশে উৎসাহ বাণী”: ২৩৫ সালে রোম-সাম্রাজ্য খ্রিষ্টিয়ানদের বিরুদ্ধে তীব্র নির্যাতন শুরু করলে অরিগেনেস তাঁর আপন ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও পৃষ্ঠপোষক আম্ব্রোজ ও আলেক্সান্দ্রিয়ার পুরোহিত প্রতোক্তেতোসের সমীপে এই লেখা প্রেরণ করেন, যাতে নির্যাতনকালে গ্রেপ্তার হলে তাঁরা দৃঢ়তার সঙ্গে খ্রিষ্টবিশ্বাস বিষয়ে সাক্ষ্য দেবার জন্য প্রাণ দিতেও প্রস্তুত থাকেন। কেননা খ্রিষ্টিয়ানদের পক্ষে সাক্ষ্যমরণের চেয়ে আরও গৌরবময় মৃত্যু নেই।